সহজ বাটিশাক চাষ পদ্ধতি

বাংলাদেশে দিন দিন বাটিশাক চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। অল্প খরচ ও রোগবালাইর আক্রমণ কম হবার পাশাপাশি কম পরিশ্রমে অধিক লাভ হওয়ায় বাটি শাক চাষাবাদে ঝুঁকছেন প্রান্তিক চাষিরা।

তাই আজ আমরা বাটিশাকের চাষাবাদ পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব এই নিবন্ধে।

বাটিশাক চাষ করার সঠিক পদ্ধতি

বাংলাদেশে নতুন এই সবজির চাষাবাদ সারা বছর করা যায়; তবে ফলন ভালো হয় শীতকালে। দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে বাটিশাকের চাষ ভালো হলেও যেকোনো মাটিতে এর চাষাবাদ করা যায়।

চারা তৈরি ও বীজ বোনার সময়

সরাসরি বীজ বোনে অথবা চারা বপন করে বাটিশাকের চাষ করা যায়। তবে উঁচু বেডে বাটিশাকের চাষাবাদ ভালো হয়।

এছাড়া…

  • বাটিশাকের চাষাবাদে জন্য চারা বপন করা উত্তম।
  • জমি চাষ দেয়ার পর ১ মিটার চওড়া বেডে ৬০ সেন্টিমিটার দূরত্বে দু’টি সারি করে সারিতে সরাসরি বীজ বোনা যেতে পারে।
  • তা ছাড়া বীজতলায় চারা তৈরি করেও বেডে ৩০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে চারা লাগানো যায়।
  • চারা রোপণ করলে চারার বয়স হতে হবে ২০-২৫ দিন।
  •  সারা বছর চাষ করা যায় তবে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বপন না করাই ভালো।
  • শীতকালীন চাষের জন্য আশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত বীজ বোনা উত্তম।
  • চারা তৈরি করে নিলে প্রতি শতক জমির জন্য বীজ লাগবে এক গ্রাম।
  • আর সরাসরি বীজ বপন করলে প্রতি শতাংশ জমির জন্য বীজ লাগবে পাঁচ গ্রাম।
  • চারা রোপণের জন্য প্রতি শতকে ২২০টি চারা লাগবে।

সারি থেকে সারির দূরত্ব হবে ৬০ সেন্টিমিটার ও চারা থেকে চারার দূরত্ব হবে ৩০ সেন্টিমিটার। বীজ গজাতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগে।

জমি তৈরি

বাটিশাক চাষাবাদের জমি ভালো ভাবে ৪-৫ টি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে তৈরি করতে হবে। সাধারণত বড় ঢেলা ভেঙে দিতে হয়।

সার প্রয়োগ ও পরিচর্যা

মিষ্টি আলুর চাষাবাদে জমিতে সার প্রয়োগ করতে হবে

  • প্রতি শতক জমিতে গোবর সার ৪০ কেজি,
  • ইউরিয়া ১ কেজি,
  • ৬০০ গ্রাম টিএসপি,
  • ও এমওপি ৯০০ গ্রাম।

জমি তৈরির সময় শেষ চাষে সম্পূর্ণ গোবর ও সম্পূর্ণ টিএসপি সার এবং অর্ধেক ইউরিয়া ও অর্ধেক এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে। ২০ -২৫ দিন পরে বাকি অর্ধেক ইউরিয়া ও এমওপি সার জমিতে উপরিপ্রয়োগ করে মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।

এছাড়া…

  • নিয়মিত সেচ ও প্রয়োজনে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • নিড়ানি দিয়ে ক্ষেত আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
ফলন ও ফসল সংগ্রহ

বীজ বোনার ২ মাসের মধ্যে ফসল সংগ্রহ করা যায়। প্রতি শতকে ৭০- ৮০ কেজি শাক পাওয়া যায়।  ফুল ধরার আগে ফসল সংগ্রহ করতে হবে। তবে গাছ একবারে না তুলে গাছের পাতা ধাপে ধাপে তুলে খেলে অনেক দিন ধরে ফসল পাওয়া যায়।

–লেখাটির বিভিন্ন তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস ও অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।  বগ্লে প্রকাশিত কোনও তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।

আরো পড়ুন … 

**চাষাবাদ ও কৃষি সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন, বিশ্লেষণ, খবর পড়তে আজই জয়েন করুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপ ” বীজ ঘর ( কৃষি কথা )”  হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ” বীজ ঘর ( কৃষি কথা )” অথবা  টেলিগ্রাম চ্যানেল  ”বীজ ঘর ( কৃষি কথা )’‘ এ। 

মতামত দিন

Item added to cart.
0 items - 0.00
Need Help?