দেশের প্রায় সব অঞ্চলে রবি মৌসুমের অন্যতম সবজি বাঁধাকপি চাষ হয়। আমাদের দেশে চাষাবাদ করা বাঁধাকপির প্রায় সব জাতই হাইব্রিড বা বিদেশি জাত।
আমাদের সাইটে আমরা কৃষি ভিত্তিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা আধুনিক বাঁধাকপির চাষাবাদ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব।
উন্নত পদ্ধতিতে বাঁধাকপি চাষ –
অত্যধিক বেলে মাটি ছাড়া প্রায়ই সব ধরণের মাটিতে বাঁধাকপির চাষ করা যায়। তবে, অধিক অম্লীয় বা লাল মাটিতেও বাঁধাকপির চাষাবাদ তেমন ভালো হয় না।
অন্যদিকে, বাঁধাকপির চাষাবাদ সব থেকে আদর্শ মাটি দোআঁশ বা পলি দোআঁশ।
বপনের সময় –
শীতকালীন সবজি বাঁধাকপির চাষাবাদ বর্তমানে গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালেও করা যায়। এছাড়া শীতের মৌসুমে আগাম ও নাবী দুইভাবেই চাষ করা হয়।
চাষাবাদের উপযোগি বাঁধাকপির জাতগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
আগাম জাতের জন্য শ্রাবণ-ভাদ্র থেকে ভাদ্র-আশ্বিন, মধ্যম আশ্বিন-কার্তিক কার্তিক-আগ্রহায়ণ এবং নাবি জাতের জন্য অগ্রহায়ণ-মধ্য পৌষ থেকে পৌষ-মধ্য মাঘ।
মৌসুমি ভেদে বাঁধাকপির বীজ বপনের সময় নিচে উল্লেখ করা হলো।
জমি তৈরির পদ্ধতি
বাঁধাকপি চাষাবাদের প্রধান কাজ হলো জমি তৈরি করা। চাষাবাদের জমি তৈরির জন্য গভীর ভাবে জমি ৪-৫ বার চাষ দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে।
এছাড়া…
- শেষ চাষের সাথে জমিতে প্রয়োজনীয় সার সমান ভাবে ছিটিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
- জমি তৈরি হয়ে গেলে মাটি থেকে ১৫-২০ সেমি উঁচু ও এক মিটার চওড়া করে বেড তৈরি করে নিতে হবে।
- বেড থেকে বেডের মাঝখানের দূরত্ব কমপক্ষে ৩০ সেমি রাখতে হবে এবং বেডের মাঝে নালা রাখতে হবে।
চারা উৎপাদন ও রোপণ পদ্ধতি –
বাঁধাকপির চাষাবাদের উত্তম পদ্ধতি হল প্রথমে চারা বীজতলায় উৎপাদন করে জমিতে লাগানো। জাত ভেদে প্রতি শতকে ২-৩ গ্রাম বাঁধাকপির বীজ প্রয়োজন এবং হেক্টর প্রতি ৫০০-৭০০ গ্রামের মত প্রয়োজন হয়।
বীজতলা তৈরিতে…
- বালি, মাটি ও জৈব সার ভালো ভাবে মিশিয়ে মাটি ঝুরঝুরা করে বীজতলা তৈরি করতে হবে।
- বীজতলার আকার ১ মিটার পাশে ও লম্বায় ৩ মিটার হওয়া উচিত।
বীজ বোনার পর চারার বয়স এক থেকে দেড় মাস হলে (৫/৬টি পাতা বিশিষ্ট ১০-১৫ সেন্টিমিটার লম্বা) সুস্থ ও সবল চারা চাষের জমিতে বপন করতে হবে।
এছাড়া……
- বাঁধাকপির চারা বোনার জন্য সারি থেকে সারির দূরত্ব ৬০ সেমি ও চারা থেকে চারার দূরত্ব ৪৫ সেমি হতে হয়।
- প্রতি শতকে ১৫০ টির মত বাঁধাকপির চারার প্রয়োজন হয়।
- চারা বিকেল বেলাতে জমিতে রোপণ করা ভালো।
- ছাদবাগনের ক্ষেত্রে ৫ মিটার লম্বা একটা বেডের জন্য ২০ থেকে ২২টি চারার প্রয়োজন হয়।
- বেডে দুই সারিতে চারাগুলো লাগাতে হবে।
- ছাদবাগনের যেহেতু কম চারার প্রয়োজন, তাই নার্সারি থেকে চারা কিনে লাগানো ভাল।
সার প্রয়োগ পদ্ধতি
বাঁধাকপির ভালো ফলন পেতে জমিতে জৈব সার ব্যবহারের বিকল্প নেই। জৈব সার মাটির গুনাগুন যেমন বজায় রাখে, তেমনি এই সারের ব্যবহারে পরিবেশ ভালো থাকে।
জমিতে ভালো ফলন পেতে হলে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করা উচিত।
প্রয়োগ পদ্ধতি..
- প্রতি শতক জমিতে ১২৫ কেজি গোবর সার, ১ কেজি ইউরিয়া, টিএসপি ৮০০ গ্রাম, ৬৫০ গ্রাম এমওপি সার দিতে হবে।
- জমি তৈরির সময় সম্পূর্ণ গোবর ও টিএসপি সার প্রয়োগ করতে হবে।
- ইউরিয়া ও এমওপি সার ২ কিস্তিতে চারা বোনার ২০-২৫ দিন পর একবার এবং ৩০-৪০ দিন পর আর একবার প্রয়োগ করতে হবে।
প্রতিবার সার দেওয়ার পর হালকা সেচ দিতে হবে।
পরিচর্যা ও সেচ –
বাঁধাকপি চাষাবাদের জমি নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। বাঁধাকপি গাছের সারির মাঝে সার দেয়ার পর সারির মাঝখানের মাটি তুলে দুপাশ থেকে গাছের গোড়ায় টেনে দিলে; সেচ ও নিকাশের সুবিধা হয়।
চাষের জমিতে জলের অভাব দেখা দিলে সহজে ও দ্রুত সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে ভালো ফলনের জন্য।
তবে…
- সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র ভালো আগাছা বাছাই করতে হবে।
- খেয়াল রাখতে হবে জমিতে যেন পানি বেশি সময় ধরে জমে না থাকে।
- অতি বৃষ্টির কারনে জমিতে পানি বেশি জমে গেলে, তাড়াতাড়ি পানি সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
- চারা বপনের ২০ থেকে ২৫ দিন পর আগাছা দমনে ব্যবস্থা নিতে হবে।
- বাঁধাকপির গাছ খুব ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে।
- চারা অবস্থা থেকে রসুন গঠনের পূর্ব পর্যন্ত ২ থেকে ৩ বার জমির আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে।
পোকা মাকড় দমন ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা –
বিভিন্ন ধরনের রোগ ও পোকা বাঁধাকপির ক্ষেতে আক্রমণ করে। তারমধ্যে সব চাইতে ক্ষতিকর পোকা হলো মাথা খেকো লেদা পোকা।
অন্যান্য পোকার মধ্যে বিছা পোকা, ঘোড়া পোকা ইত্যাদি মাঝে মাঝে ক্ষেতের ক্ষতি করে থাকে।
এছাড়া বাঁধাকপির রোগের মধ্যে পাতায় দাগ ও কালো পচা রোগ প্রধান সমস্যা। তবে মাঝে-মাঝে চারা ঢলে পড়া বা ড্যাম্পিং অফ, মাথা পচা বা গ্রে মোল্ড, ক্লাব রুট বা গদাই মূল, মোজাইক, পাতার আগা পোড়া ইত্যাদি রোগও হয়ে থাকে।
বাঁধাকপির রোগ ও পোকার আক্রমণে যা করতে হবে –
বাঁধাকপির চাষাবাদে রোগ প্রতিরোধে করণীয় জানা না থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকরা। এছাড়া, আশানুরূপ ফলনও পাচ্ছে না তারা।
ভালো ফলনের জন্য বাঁধাকপির চাষাবাদে ক্ষেত্রে শুরুতেই এর রোগ ও পোকামাকড় দমনের কৌশল সম্পর্কে জানা থাকা জরুরি।
কালো পচা রোগ
- বাঁধাকপির বীজ বপনের পূর্বে ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার গরম পানিতে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে বীজ শোধন করে নেয়া।
- ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করতে হবে নিয়মিত, এছাড়া অনুমোদিত ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে হবে।
চারা ধ্বসা রোগ
- এ রোগ প্রতিরোধ করতে হলে ১০০ থেকে ১২৫ কেজি প্রতি একর হারে সরিষা খৈল প্রয়োগ করেও সুফল পাওয়া যায়।
- ঢলে পড়া চারা দেখা মাত্রই তুলে পেলে, তা ধ্বংস করে ফেলতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব সার ও পরিমিত ইউরিয়া ব্যবহার করে হবে।
- জমি সবসময় আর্দ্র বা ভিজা না রাখা এবং পানি নিকাশের ব্যবস্থা রাখা জরুরি।
পাতায় দাগ পড়া রোগ
- এ রোগের প্রতিকারের জন্য বাঁধাকপির ক্ষেতে সুষম সার ও সেচের ব্যবস্থার পাশা-পাশি সঠিক দূরত্বে চারা বোনতে হবে।
- রোগের প্রাথমিক অবস্থায় স্কোর ২৫০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ৫ এমএল হারে ২ সপ্তাহ পরপর স্প্রে করা যেতে পারে।
এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের পোকাও বাঁধাকপি ক্ষেতে আক্রমণ করে থাকে। তাই, জেনে নেওয়া দরকার পোকার আক্রমণ থেকে ক্ষেত কিভাবে রক্ষা পেতে পারে।
কাটুই পোকা
- কাটুই পোকার আক্রমণে একর প্রতি ৩০০ এমএল, প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ এমএল ক্যারাটে মিশিয়ে গাছের গোড়া বরাবর ভালোভাবে মাটি ভিজিয়ে দিতে হবে।
- স্প্রে শেষে গাছের গোড়ায় মাটি তুলে দিতে হবে।
লেদা পোকা
- যদি সম্ভব হয় তাহলে হাত দ্বারা কীড়া ও ডিম সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে।
- ভলিয়াম ফ্লেক্সি ৩০০ এসসি প্রতি লিটার পানিতে ৫ এমএল হারে মিশিয়ে গাছ ভালোভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
বাঁধাকপির সরুই পোক
- বাঁধাকপির ফসল সংগ্রহের পর ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলা এবং পরে জমি ভালো করে চাষ করা।
- কীড়া এবং ডিম সম্ভব হলে হাত দিয়ে পিষে মারা।
- প্রোক্লেম ৫ এসজি-১ গ্রাম প্রতিলিটার লিটার পানিতে প্রয়োজনীয় পানির সাথে আনুপাতিক হারে প্রোক্লেম মিশিয়ে ভালোভাবে গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে এবং প্রয়োজনে ৫ থেকে ৭ দিন পরপর স্প্রে করে দিতে হবে।
খুবই সহজে টবে বাঁধাকপির চাষ করুন –
শীতকাল ছাড়া বাজারে বাঁধাকপি তেমন একটা পাওয়া যায় না। তবে, সারাবছর বাড়ির ছাদে; ছাদ বাগানে জৈব পদ্ধতিতে বাঁধাকপির চাষাবাদ করা যায়।
দেখুন, কোন পদ্ধতিতে ছাদ বাগানে বাঁধাকপির চাষাবাদ করবেন…
- আপনার বাসা-বাড়ি বারান্দায় বা ছাদে আলো বাতাস এমন একটি স্থান বেছে নিন।
- বাসা-বাড়ি ছাদে অথবা বারান্দায় বাঁধাকপি চাষে মাটি অথবা প্লাস্টিকের টব ব্যবহার করতে পারেন।
- এছাড়া পলিব্যাগ, টিনের কৌটা বা প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করতে পারেন।
- মাটির টবেই বাঁধাকপি চাষ ভালো হয়।
- বাজার থেকে চারা কিনে লাগাতে পারেন অথবা চাইলে বীজও বোনতে পারেন।
- তার সাথেই দরকার হয় বাঁধাকপি চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি।
- সাধারণ মাটি ও সাদা বালি মেশাতে হবে ৬০% এবং তার সাথে মেশাতে হবে ভারমি কম্পোস্ট অথবা গোবর সার।
- প্রথম বার মাটি তৈরী করার সময় পরিমান মত সার দিতে হবে।
- টবে বাঁধাকপি গাছ বেশ ছড়িয়ে যায়, যার ফলে পরে আর জৈব সার প্রয়োগ করা সম্ভব হয় না।
- টবে মাটি ভরে সামান্য গর্ত করে তাতে চারা বা বীজ বোনোর পর পানি দিতে হবে।
- প্রথম থেকেই বাঁধাকপির গাছ সম্পূর্ণ সূর্যের আলোয় রাখতে হবে। পাশা-পাশি নিয়মিত পানি দিতে হবে।
- পোকা-মাকড় দূরে রাখার জন্য ১৫ দিন পর পর গাছে নিম তেল দেওয়া যেতে পারে।
- সর্ষের খোল ৭ দিন রেখে পানির সাথে মিশিয়ে গাছের মাটিতে দেওয়া যাবে, যদি বাঁধাকপির গাছ বাড়তে সময় নেয়।
৬০ থেকে ৯০ দিন সময় লাগে বাঁধাকপির ফলন সংগ্রহ করতে। তবে, খেলেই বুঝতে পারবেন, বাড়িতে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা বাঁধাকপির স্বাদ বাজারের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ও দারুন সুস্বাদু।
কৃষিতে সাফল্য রঙিন বাঁধাকপি চাষ –
‘লালিমা’ জাতের রঙিন বাঁধাকপি দেখতে সুন্দর, স্বাদে হালকা মিষ্টি ও পুষ্টিকর। এটির চাষাবাদে অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় না; ফলনে ও দামে ভালো।
ফলন ও দাম ভালো পাওয়াতে কৃষকরা লাল বা রঙিন বাঁধাকপির চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এই বাঁধাকপির চাষাবাদে বাজিমাত করেছেন কৃষকরা।
যে কারণে কৃষকরা রঙিন বাঁধাকপি চাষে ঝুঁকছে…
- রঙিন বাঁধাকপি দেখতে অনেক সুন্দর।
- সালাদ হিসেবেও খাওয়ার উপযোগী।
- কপি ৮০-৯০ দিনে পরিপক্ব হয়ে বিক্রির উপযোগী হয়।
- ফলন বেশ ভালো হয়েছে।
- ভালো দাম পাওয়ার কারণে, সবুজ বাঁধাকপির চেয়ে অনেক বেশি লাভবান হচ্ছে কৃষকরা।
- লোকজন লাল জাতের এই বাঁধাকপি কিনতে বেশ আগ্রহী।
- তাই বাজারে রঙিন এই কপির চাহিদাও প্রচুর।
- অল্প টাকা খরচ করে বেশ ভালো লাভ পাচ্ছে কৃষকরা।
দেশে আগে রঙিন বাঁধাকপির চাষাবাদ তেমন দেখা যেত না। বর্তমানে কৃষকরা রঙিন বাঁধাকপি চাষে ঝুঁকছে অনেক বেশি। চারা বোনার অল্প কিছুদিন পারে সারি সারি বাঁধাকপি জমিতে ছেয়ে যায়। ওপরের পাতা ছিঁড়ে ফেললেই বের হয়ে আসে লাল টসটসে রঙিন এই বাঁধাকপি।
ফসল সংগ্রহ ও ফলন –
চারা বোনার ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে বাঁধাকপি সংগ্রহ করা যায়। প্রতি শতকে ১৫০-১৮০ কেজি, হেক্টরে ৭৫-৮০ টন ফলন হয়ে থাকে।
সুত্র: লেখাটির বিভিন্ন তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস ও অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন …
- আধুনিক কলমি শাক চাষ পদ্ধতি
- যেভাবে উন্নত পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করবেন
- আধুনিক শিম চাষ পদ্ধতি
- সহজ পালং শাক চাষ পদ্ধতি
- আধুনিক বেগুন চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা
- কোন মাসে কী ধরনের শাক-সবজি ও ফল চাষ করবেন
**চাষাবাদ ও কৃষি সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন, বিশ্লেষণ, খবর পড়তে আজই জয়েন করুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপ ” বীজ ঘর ( কৃষি কথা )” হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ” বীজ ঘর ( কৃষি কথা )” অথবা টেলিগ্রাম চ্যানেল ”বীজ ঘর ( কৃষি কথা )’‘ এ।